সার্চ ইঙ্গিন মার্কেটিং – এসইএম (SEM) বা Search Engine Marketing হলো এক ধরনের ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল যার মাধ্যমে আপনি সার্চ ইঞ্জিনে (যেমন Google, Bing) বিজ্ঞাপন দিয়ে আপনার ওয়েবসাইটে ট্রাফিক বাড়াতে পারেন। সহজ কথায়, যখন কেউ কোনো কিছু খুঁজতে গুগলে সার্চ করে, তখন আপনার বিজ্ঞাপন সার্চ রেজাল্টের শীর্ষে বা পাশে দেখা যাবে।
সার্চ ইঙ্গিন মার্কেটিং – এসইএম (SEM – Search Engine Marketing) কী?
সহজ কথায় SEM অর্থাৎ Search Engine Marketing হলো এমন একটি ডিজিটাল মার্কেটিং কৌশল যেখানে আপনি সার্চ ইঞ্জিনের (যেমন Google, Bing) সার্চ রেজাল্টে আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক উপরে দেখাতে পারেন। এটা কীভাবে হয়? আপনি সার্চ ইঞ্জিনে বিজ্ঞাপন দেন এবং যখন কেউ কোনো কিছু খুঁজতে গুগলে সার্চ করে, তখন আপনার বিজ্ঞাপন সার্চ রেজাল্টের শীর্ষে বা পাশে দেখা যেতে পারে।
কেন SEM ব্যবহার করা হয়?
দ্রুত ফলাফল: SEO (Search Engine Optimization) এর তুলনায় SEM দিয়ে দ্রুত ফলাফল পাওয়া যায়। যদি কোনো পণ্য বা সেবার জন্য আপনার দ্রুত ফলাফল দরকার হয়, তাহলে SEM একটি ভালো বিকল্প।
লক্ষ্যভিত্তিক বিজ্ঞাপন: আপনি নির্দিষ্ট কিওয়ার্ড, লোকেশন, ডিভাইস ইত্যাদি ব্যবহার করে আপনার লক্ষ্যবস্তুকে টার্গেট করতে পারেন। আপনার ইমেইল তালিকা বা ওয়েবসাইট ভিজিটরদের তথ্য ব্যবহার করে আপনি কাস্টম অডিয়েন্স তৈরি করতে পারেন এবং তাদেরকে টার্গেট করতে পারেন। অথবা রিমার্কেটিং ক্যাম্পেইন চালাতে পারেন।
মাপযোগ্যতা: আপনি সহজেই ট্র্যাক করতে পারবেন যে আপনার বিজ্ঞাপন কতটা কার্যকরী হচ্ছে। আপনি কত টাকা খরচ করে কত টাকা আয় করছেন, তা সহজেই বের করতে পারবেন। আপনার ROI পরিমাপ করতে পারবেন
প্রতিযোগিতামূলক বাজারে সফলতা: প্রতিযোগিতামূলক বাজারে আপনার পণ্য বা সেবা অন্যদের চেয়ে আগে দেখানোর জন্য SEM একটি দুর্দান্ত উপায়। আপনার ব্র্যান্ডকে আরও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া সম্ভব। এবং সরাসরি গ্রাহকদের কাছে পৌঁছে যাওয়ার ফলে বিক্রয় বৃদ্ধি পায়।
SEM কিভাবে কাজ করে?
SEM মূলত একটি বিড-ভিত্তিক সিস্টেম। আপনি নির্দিষ্ট কিওয়ার্ডের জন্য বিড করে থাকেন এবং যখন কেউ সেই কিওয়ার্ডটি সার্চ করে, তখন আপনার বিজ্ঞাপনটি দেখানো হয়। বিজ্ঞাপনের গুণমান এবং আপনার বিডের পরিমাণের উপর নির্ভর করে, আপনার বিজ্ঞাপন কোন স্থানে দেখানো হবে।
উদাহরণস্বরূপ ধরুন, আপনি একটি নতুন রেস্টুরেন্ট খুলেছেন এবং আপনার রেস্টুরেন্টটির নাম “সিলেটি রান্না”। আপনি Google Ads ব্যবহার করে “ঢাকায় সিলেটি খাবার” এই কিওয়ার্ডটির জন্য বিড করেন। যখন কেউ গুগলে এই কিওয়ার্ডটি সার্চ করে, তখন আপনার রেস্টুরেন্টের বিজ্ঞাপন সার্চ রেজাল্টের শীর্ষে বা পাশে দেখতে পাবে যদি আপনি SEM ব্যবহার করেন।
SEM এর বিভিন্ন ধরন
Search Network: সার্চ ইঞ্জিনের সার্চ রেজাল্ট পেজে বিজ্ঞাপন দেখানো হয়।
Display Network: অন্যান্য ওয়েবসাইটে বা অ্যাপে আপনার বিজ্ঞাপন দেখানো হয়।
Video Ads: YouTube-এ আপনার বিজ্ঞাপন দেখানো হয়।
Shopping Ads: Google Shopping-এ আপনার পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখানো হয়।
SEM এর অসুবিধা:
SEM-এর অসুবিধাগুলি হলোঃ
- খরচ: SEM-এ আপনাকে প্রতিটি ক্লিকের জন্য একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ(CPC) দিতে হয়। এই দাম(CPC) কিওয়ার্ডের প্রতিযোগিতা, আপনার বিজ্ঞাপনের গুণমান এবং অন্যান্য কারণের উপর নির্ভর করে। জনপ্রিয় কিওয়ার্ডের জন্য বিডের পরিমাণ অনেক বেশি হতে পারে। ফলে আপনার বিজ্ঞাপনটি দেখানোর জন্য আপনাকে অনেক বেশি অর্থ খরচ করতে হতে পারে।
- জটিলতা: সঠিক কিওয়ার্ড বেছে নেওয়া একটি জটিল প্রক্রিয়া। আপনাকে আপনার টার্গেট অডিয়েন্সের সার্চ ভ্যালু, সার্চ ভলিউম এবং প্রতিযোগিতা বিশ্লেষণ করতে হবে। আপনার ক্যাম্পেইন সফল করার জন্য আপনাকে নিয়মিতভাবে এর পারফরম্যান্স মনিটর করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় পরিবর্তন আনতে হবে।
- ক্লিক ফ্রড: কিছু বট(Bot) অটোমেটিকভাবে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে। কিছু কোম্পানি কৃত্রিমভাবে বিজ্ঞাপনে ক্লিক করে অর্থ উপার্জন করে। ফলে আপনাকে অপ্রয়োজনীয় ক্লিকের জন্য অর্থ দিতে হয়। ক্লিক ফ্রডের কারণে আপনার ক্যাম্পেইনের স্ট্যাটিস্টিক্স ভুল হয়ে যেতে পারে।
- ক্লিক ফ্রড প্রতিরোধ করার উপায়:
➤ গুগল এডসের ফ্রড প্রিভেনশন টুলস ব্যবহার করা
➤ ক্লিকের গুণমান পরীক্ষা করা
➤ ল্যান্ডিং পেজের গুণমান উন্নত করা
- ক্লিক ফ্রড প্রতিরোধ করার উপায়:
এসইএম ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার, যা আপনাকে দ্রুত এবং সুনির্দিষ্টভাবে আপনার পণ্য গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করে। সঠিক কৌশল প্রয়োগ করলে, এটি আপনার ব্যবসার প্রবৃদ্ধি এবং সফলতার একটি মূল উপাদান হতে পারে। SEM একটি শক্তিশালী টুল হলেও, এর কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। এই অসুবিধাগুলি মোকাবিলা করার জন্য আপনাকে ভালোভাবে পরিকল্পনা করতে হবে এবং সঠিক কৌশল অবলম্বন করতে হবে।